তরুণীকে নিয়ে অশ্লীল নৃত্য, দুই এএসআই ক্লোজড
মাদারীপুরের রাজৈর থানার দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং যুবলীগের নেতাদের মধ্যে একাধিক অশ্লীল ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, দুই পুলিশ সদস্য মদ্যপ অবস্থায় একাধিক নারীর সঙ্গে অশ্লীল নৃত্য করছেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন রাজৈর উপজেলা যুবলীগের কয়েকজন নেতা, যারা নাচের তালে তাল দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে একজন যুবলীগ নেতা, রাহাত হোসেন, খাটে বসে ওই নাচ উপভোগ করছেন।
ভিডিওগুলোর ভাইরাল হওয়ার পর, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার সাথে সাথে ১৩ জানুয়ারি দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড যেমন মদ, গাঁজা, এবং অশ্লীল আসর বসানোর জন্য পুলিশ সদস্যরা যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে মিলে সেখানে অংশ নেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশ পুলিশ এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।
রাজৈর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ মাসুদ খান জানান, পুলিশ বাহিনী শৃঙ্খলা মেনে কাজ করে, এবং কোনো পুলিশ সদস্যের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য পুরো বাহিনী দায়ী হবে না। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে, এবং অভিযুক্তদের ক্লোজড করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই এএসআই নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করে জানান, ভিডিওটি অসতর্কতার ফলে ভাইরাল হয়েছে। স্বপন অধিকারী বলেন, তিনি মাঝে মাঝে আনন্দ-ফুর্তি করেন, তবে তার কাজের মধ্যে কোনো অন্যায় ছিল না। মো. হাদিবুর রহমানও একই কথা বলেন, দাবি করেন এটি তার জন্মদিনের আয়োজন ছিল এবং ভিডিওটি হয়তো অন্য কেউ ছড়িয়ে দিয়েছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান এই ঘটনাটিকে নিন্দনীয় হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, পুলিশ বাহিনী শৃঙ্খলা মেনে কাজ করে। তিনি জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে।
এদিকে, যুবলীগ নেতা রাহাত হোসেনের বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি কারণ তিনি পলাতক। তার পরিবারও এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।