ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার থানার মোড় থেকে বাসটি আটক করে থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশ বাসটির চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলম (২৮)কে আটক করে। গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং বাসটি জব্দ করে।
আটককৃত বাবলু রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার শাহমুকদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে, সুপারভাইজার সুমন সাধুর মোড় গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ও হেলপার মাহবুব পূর্ব কাঠালিয়া গ্রামের আঙ্গুর মন্ডলের ছেলে।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের কাছে থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানান, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার গাবতলি থেকে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে চন্দ্রা এলাকায় বাসটিতে আরও কয়েকজন যাত্রী উঠে। পরে বাসটি টাঙ্গাইল পৌঁছালে নতুন উঠা যাত্রীসহ আরও কয়েকজন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। পরে ডাকাতরা যাত্রীদের মালামাল লুট করে মির্জাপুর এলাকায় বাস থেকে নেমে যায়। এ সময় দুই নারী যাত্রী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। বাস ডাকাতির খবর পাওয়ার পর বড়াইগ্রাম থানা মোড়ে বাসটি আটক করা হয় এবং টাঙ্গাইলের কোন একস্থানে বাসটিতে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে বলে যাত্রীদের দেয়া তথ্যে জানা যায় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও দুই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে। তবে পুলিশ বলেছে ধর্ষণের ঘটনায় কোন মামলা করেননি কেউ। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ডাকাতির ঘটনায় আটক তিনজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদা শারমিন নেলী জানান, বাসটি আটক করা হয়েছে। এছাড়া বাস চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আটক করা হয়। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।