Saturday, March 15, 2025

সুবিচার চাইলেন সাংবাদিক শাকিল

আরও পড়ুন

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চাকরিজীবী মো. ফজলুল করিম হত্যা মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভি থেকে চাকরিচ্যুত প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ ও তার স্ত্রী প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা-পূর্ব থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. মোহাইমিনুর রহমান। রিমান্ড শুনানির আগে তাদের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন এ কথা বলেন শাকিল আহমেদ।

এদিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে ইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, এই দুই জন আসামি ছাত্র আন্দোলন দমন করতে উস্কানি দেন।

আরও পড়ুনঃ  সুগন্ধা পয়েন্টে ঘোরাঘুরির সময় পর্যটকের আকর্ষিক মৃত্যু

তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ দুই সাংবাদিক বিমানবন্দর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের গ্রেপ্তারের খবরে হাজার হাজার উৎসুক জনতার ভিড়ে আজ আদালত প্রাঙ্গণ ভরপুর। এরা রাজনীতিবিদ থেকেও জঘন্য। রাজনীতিবিদরা মানুষের সেবা করেন। এরা রাজনীতি করেন না। এরা পরগাছা। এদের কারণে একটি সরকার স্বৈরাচারী হয়। তাদের তৎপরতায় সরকার মিস গাইড করে। গত ১৫ বছর ৭১ টিভি শেখ হাসিনা সরকারকে স্বৈরাচার হতে সাহায্য করেছে। ভোটবিহীন নির্বাচন করতে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। টকশোর নামে হাসিনাকে আরও স্বৈরাচার করেছে।

আরও পড়ুনঃ  হঠাৎ রেকর্ড সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের ভারত যেতে আবেদন

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারা দেশ যখন সরকারের হাত থেকে চলে গেছে সেদিনও তারা টেলিভিশনে আরও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। যেন আরও মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসে। আরও লাশ পড়ে। তারা অপরাধ করেছেন। এজন্য তারা পালিয়ে যাচ্ছেন। আরও সাংবাদিক আছেন। আমাদের কোর্ট এলাকায়ও অনেক সাংবাদিক আছেন। তারা তো যাচ্ছেন না। ভেবেছিলেন শেখ হাসিনা তাদের নিয়ে যাবেন। কিন্তু নেয়নি।

আসামিদের পক্ষে জুলফিকার আলী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, তারা দুইজনই সাংবাদিক। এদের ছোট একটা বাচ্চা আছে। রিমান্ড বাতিল চেয়ে তাদের জামিন চাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  রাজধানীতে রাতভর যেসব ঘটনা ঘটলো

এরপর আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান তাদের কিছু বলার আছে কি না। এসময় ফারজানা রুপা কথা বলতে শুরু করলে আইনজীবীরা চিৎকার শুরু করেন।

তখন ওমর ফারুক আদালতকে বলেন, তাদের আইনজীবী তো কথা বলেছেন। আগে পরিস্থিতি ঠান্ডা করেন। পরে তারা আর কথা বলতে পারেননি। আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

পরে তাদের আদালত থেকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। নিয়ে যাওয়ার সময় এক আইনজীবী ফারজানা রুপাকে ঘুষি মারেন। পরে দ্রুত তাদের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ