Saturday, March 15, 2025

মারা গেছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের মা, জানাজায় ছিলেন না ৬ ছেলের কেউই

আরও পড়ুন

যে মায়ের দোয়ায় সফল শিল্পপতি হয়েছেন, সেই মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়া হয়নি দেশের আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের। শুধু তিনিই নন, বাকি আরও ৫ ভাইও জানাজায় অংশ নিতে পারেনি তাঁদের মায়ের। অংশ নিতে দেখা যায়নি সাইফুল আলম মাসুদের দুই ছেলেকেও। ভিডিও কলে শেষবারের মতো মাকে দেখেন সন্তানরা।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা চেমন আরা বেগম ৯২ বছর বয়সে রোববার ভোরে ঢাকার বাসভবনে মারা যান। বিকালে চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ১২০ কোটির দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন, সাংবাদিকের মরদেহ মিললো সেপটিক ট্যাঙ্কে

পারিবারিক সূত্র জানায়, সকালে সাইফুল আলম মাসুদের মাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও আগেই তিনি মারা যান। পরে হেলিকপ্টারে করে সাইফুল আলম মাসুদের মায়ের মরদেহ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।

দিনভর চট্টগ্রামসহ দেশে আলোচনা ছিল, যে টাকার পেছনে সারাজীবন ছুটেছেন মূলত সেই টাকা নিয়ে কেলেংকারীর কারণে মায়ের মৃত্যুতেও দেশে আসতে পারেননি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদ।

চেমন আরা বেগম ৭ ছেলে ও ৫ মেয়ের জননী ছিলেন। গত ২০২০ সালে করোনা আক্রান্ত হয়ে তাঁর বড় ছেলে মোরশেদুল আলম মৃত্যুবরণ করেন।

আরও পড়ুনঃ  অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় চাকরিচ্যুত নার্সিং কলেজ অধ্যক্ষ, বের করে দেয়া হলো মধ্যরাতে

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ লক্ষাধিক কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার বিষয়টি সামনে এসেছে। এ নিয়ে সাইফুল আলম মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাঁর বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের পারিবারিক একটি সূত্র জানিয়েছে, সাইফুল আলম মাসুদসহ চার ভাই বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।

দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠার পেছনে চেমন আরা বেগমের অনবদ্য অবদান রয়েছে। এস আলম গ্রুপ প্রতিষ্ঠার পূর্বে চেমন আরা বেগম তাঁর ভাই আকতারুজ্জামান বাবুর কাছে সাইফুল আলমকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর এভাবেই এস আলম গ্রুপের উত্থান।

আরও পড়ুনঃ  ট্রাম্পকে কঠোর হুঁশিয়ারি কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর

চেমন আরা বেগম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি অধিকাংশ সন্তানদের কাছে পাননি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ