ময়মনসিংহে আলোচিত ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিলে অসংখ্য মানুষের মুঠোফোন চুরি ও হারানো গেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করছেন ভুক্তভোগী লোকজন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় অন্তত ২০০টি জিডি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় বিশাল ওয়াজ মাহফিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়ায় মুঠোফোন চুরি ও হারানোর ঘটনা ঘটেছে। আজ রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় অন্তত ২০০ জিডি করা হয়েছে। মুঠোফোনগুলো উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, আজ নগরের সার্কিট হাউস মাঠে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে আল ইসলাম ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠন। মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বেলা দুইটা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত বক্তব্য দেন মিজানুর রহমান আজহারী। মাহফিল সফল করতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন ইসলামি দল, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর ছিল। মাহফিলের জন্য দুই লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল ছাড়াও ১৬ একর সার্কিট হাউস মাঠ ও আশপাশের পার্ক ও সড়কে মানুষের ঢল নামে। এ ছাড়া জিলা স্কুল মাঠ, জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠ, উমেদ আলী মাঠেও ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে।
ওয়াজ মাহফিলের জন্য মাঠসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ২২টি এলইডি পর্দার ব্যবস্থা করা হয়। তিনটি মেডিকেল ক্যাম্প, চার শতাধিক অজুখানা ও শৌচাগার এবং পর্যাপ্ত খাওয়ার পানির ব্যবস্থাও ছিল। প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ বিজিবি, বিপুলসংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও আনসার–ভিডিপির সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। মাহফিলে যোগ দিতে শুক্রবার রাত থেকেই আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন মাহফিলস্থলে আসতে থাকেন। মানুষের সমাগমের মধ্যে চোরচক্র মুঠোফোন চুরি করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাহফিলে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসায় এবং তাৎক্ষণিক কাগজপত্র জোগাড় না করতে পারায় কাল পর্যন্ত জিডির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, জিডিগুলো হচ্ছে মূলত মুঠোফোন হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে।