চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি লতিফুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভেবেছিলো জামায়াতে ইসলামিকে সাইজ করবে, পারে নাই। সে নিজেই দিল্লীতে মামার বাড়ি চলে গেছে। এখন আবার আসার তাল করছেন। তিনি বলেন, ৩২ নম্বর চলে গেছে, ঘরবাড়ি চলে গেছে। আরেকটা হুকার দিলে টুঙ্গিপাড়াও চলে যাবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সাবেক সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, অবিলম্বে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে হবে, তা নাহলে আগামীতে বাংলাদেশকে অচল করে দেয়া হবে।
জেলা জামায়াতের আমীর আবুজার গিফারীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান ও জেলা সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল ও প্রতীক ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ও নেতারা মুক্তি পেলেও এখনো জামায়াতের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পায়নি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তার দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি অন্যথায় দেশব্যাপী আন্দোলন ও বাংলাদেশ অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন জামায়াত নেতারা। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শান্তির মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এতে স্মরণকালের সেরা শোডাউন করতে দেখা গেছে দলটির নেতা-কর্র্মীদের।
এর আগে বিকেল থেকে বিভিন্ন উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন শাখা থেকে নেতাকর্মীরা পৌরপার্কে জড়ো হন। তারা আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে ব্যানার ও প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারাবন্দী রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম।