Saturday, March 15, 2025

সম্মেলন ঘিরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু, আটক ৩

আরও পড়ুন

বাগেরহাটের কচুয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত বিএনপি নেতা শওকত হোসেন (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এর আগে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দেপাড়া বাজার এলাকায় নিজ দলীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষে শওকত হোসেন গুরুতর আহত হন। এ সময় ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ও নিহতের ভাই মো. লিয়াকত হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হন। আহত শওকতকে প্রথমে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

আরও পড়ুনঃ  ভাইরাল শামীম ওসমানের দাড়ি-গোঁফওয়ালা ছবি, যা জানা গেল

পরবর্তীতে হামলার ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী মো. লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে এখন পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে আটক করেনি পুলিশ।

নিহত শওকত হোসেন কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ি গ্রামের ইমান উদ্দিন শেখের ছেলে। তিনি ধোপাখালি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বিএনপি নেতা শওকত হোসেনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে দেপাড়া বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মী ও নিহতের স্বজনরা। বিক্ষুব্ধ জনতা হামলাকারী আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীর গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করে রাখলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে হায়দারকে আটক করে।

আরও পড়ুনঃ  হাসিনা রাজনীতিতে ফিরবেন না: বিবিসিকে জয়

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেপাড়া বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীদের অবস্থান রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আতঙ্কে বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পরে দেপাড়া বাজার থেকে সদর থানা পুলিশ বিএনপির আরও দুইজনকে আটক করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম ও পরিচয় জানানো হয়নি।

নিহত বিএনপি নেতা শওকত হোসেনের ভাই লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ভাই গুরুতর আহত হন এবং দীর্ঘ ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’

আরও পড়ুনঃ  কাউকে জেলে পাঠানোর এজেন্ডা আমাদের নেই: কাদের

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। কচুয়া, বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ আরও দুইজনকে আটক করেছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ