Friday, March 14, 2025

কেন্দ্রীয় শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন, সিবগাতুল্লাহ-সাদিক কায়েমসহ পদ পেলেন যারা

আরও পড়ুন

সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২৫ সেশনের জন্য ৪৬ সদস্যের কার্যকরী পরিষদ গঠন করেছে ছাত্রশিবির। কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে আরও ১৪ জনকে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে তিনি কার্যকরী পরিষদের পরামর্শক্রমে ২৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট গঠন করেন।

এতে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সিবগাতুল্লাহ। আর আর কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাবি ছাত্রশিবিরের আলোচিত সদ্য সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম। আজ রবিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় সম্পাদকীয় অন্য পদগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক পদে আজিজুর রহমান আজাদ, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জি. নাজমুস সোয়াদ রফি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু. মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, সাহিত্য সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ নাঈম, অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল হক মিছবাহ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ মো. মিছবাহুল করিম, বিজ্ঞান সম্পাদক ডা. উসামাহ রাইয়ান, ফাউন্ডেশন সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূইয়া, ছাত্রকল্যাণ ও সমাজসেবা সম্পাদক হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবু মুসা, স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক মো. নোমান হোসেন নয়ন, শিক্ষা সম্পাদক আব্দুল মোহাইমেন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, কলেজ কার্যক্রম ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম, এইচআরডি সম্পাদক শরীফ মাহমুদ, বিতর্ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি, মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া, পাঠাগার সম্পাদক মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, তথ্য সম্পাদক আবু সায়েদ সুমন, মানবাধিকার সম্পাদক মো. সিফাত উল আলম, আইন সম্পাদক আরমান হোসেন এবং কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক পদে ইঞ্জি. এস এম তানভীর উদ্দীন নির্বাচিত হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  এবার মাঠে নামছে ছাত্রদল

সংগঠনটির সংবিধানের ১২ ধারা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সভাপতি, কার্যকরী পরিষদ এবং সেক্রেটারিয়েটের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় সংগঠন গঠিত হবে। গত ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রশিবিরের ২০২৫ মেয়াদে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত হয়েছেন নুরুল ইসলাম।

সংবিধানের ১৯ ধারা মতে, কার্যকরী পরিষদের সমাপনী সাধারণ অধিবেশন কর্তৃক নির্ধারিত হারে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে কার্যকরী পরিষদ এক বছরের জন্য গঠিত হবে । সভাপতি প্রয়োজন বোধ করলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি হবে না, এমন সংখ্যক সদস্যকে এবং কার্যকরী পরিষদের প্রাক্তন সদস্যদের মধ্য থেকে অনূর্ধ্ব দুজনকে কার্যকরী পরিষদের পরামর্শক্রমে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি থাকবেন এবং সেক্রেটারি জেনারেল পদাধিকার বলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য হবেন।

আরও পড়ুনঃ  কোটা আন্দোলন সরকারবিরোধীরূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে : কাদের

২৬ ধারা মতে, কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সাথে পরামর্শ করে সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিভাগীয় সেক্রেটারির সমন্বয়ে সেক্রেটারিয়েট গঠন করবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি কার্যকরী পরিষদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনবোধে পূর্ণ বা আংশিকভাবে তাঁর সেক্রেটারিয়েটে রদবদল করতে পারবেন।

তাছাড়া ২৮ ধারা মতে, কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করাই সেক্রেটারিয়েটের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং সেক্রেটারিয়েট কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতির কাছে দায়ী থাকবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ