গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তীব্রভাবে শুরু হয়, তখন সাদাপোশাকে নাহিদ ইসলামকে তুলে নেওয়া হয়। তবে তাকে ডিজিএফআইয়ের টর্চার সেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সুচিস্মিতা তিথি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি ফেসবুকে তার আইডিতে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন।

পোস্টে সুচিস্মিতা লেখেন, ‘গত জুলাইয়ে সাদাপোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই টর্চারসেলে রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি আইডেন্টিফাই করেন নাহিদ। এই কক্ষের এক পাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। গত ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়াল রং করা হয়।’
সহকারী প্রেস সচিব বলেন, ‘আজ প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীর তিনটি এলাকায় র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের টর্চার সেল (আয়নাঘর নামে পরিচিত) পরিদর্শন করেন।’
এর আগে বুধবার দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতের বহু মানুষকে তুলে নিয়ে বিচার বহির্ভূতভাবে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার অভিযোগ ওঠে, সেসব বন্দিশালার প্রতীকী নাম রাখা হয়েছে ‘আয়নাঘর’।
তুলে নেওয়া সেসব মানুষদের কেউ কেউ বহু দিন পর পরিবারের কাছে ফিরে বীভৎস নির্যাতনের বিবরণ দিলেও অনেকের খোঁজ এখনো মেলেনি। বিভিন্ন বাহিনীর আওতাধীন এমন আয়নাঘরের সন্ধান পাওয়ার কথা বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ‘গুম তদন্ত কমিশন’।