সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসীদের জন্য ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করবে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০১২ সাল থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মানুষের জন্য ইলিশ সরবরাহ বাড়ানো ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষ, যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন, দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পাশে ছিলেন, তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সীমিত আকারে ইলিশ মাছ রপ্তানির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

ফরিদা আখতার বলেন, সারা বছর পাঠানো না গেলেও ইলিশ মৌসুমের সময় আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীদের জন্য ইলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, সর্বাধিক প্রবাসী কর্মজীবী আছেন সৌদি আরবে। এই সংখ্যা প্রায় ৪৪ লাখ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী আছেন প্রায় ২২ লাখ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিকভাবে এই দুটি দেশে মোট ১১ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। চলতি বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর অন্যান্য দেশে পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করা হতে পারে।