এনটিএমসি’র সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ২০ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন এবং শুনানি শেষে জিয়াউল আহসানকে কারাগারে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান, যা বাসসের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।

এর পর, আদালত থেকে বের হওয়ার পর পিনাকী ভট্টাচার্য একটি ছোট ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যায়, জিয়াউল আহসান আদালত থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে এসে দুই হাত তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। পুলিশ তার হাত নামিয়ে দিলেও তিনি পুনরায় হাত তুলে পুলিশকে তিরস্কার করে বলেন, “আমি চোর বাটপার নাকি যে হাত তুলতে পারব না?” ভিডিওটির ক্যাপশনে পিনাকী ভট্টাচার্য লেখেন, “এই খুনি ও নরপিচাশ ব্যক্তির হাতকড়া ও পায়ে ডান্ডাবেড়ী কেন পড়ানো হয়নি?”
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে, ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের দাখিল করা অপর একটি আবেদন মঞ্জুর করে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এসব পরোয়ানা তাদের বিরুদ্ধে রামপুরায় গণহত্যার অভিযোগে জারি করা হয়েছে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত হয়।
এছাড়া, ৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে ১২ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।